চিনা বাদামের পুষ্টিগুণের উপকারিতা (Nutritional Benefits Of Peanut)
ক্যালরি:
দেহের শক্তির উৎস ক্যালরি। আমাদের দেহে শক্তির জোগান দেয়।
প্রোটিনঃ
প্রোটিন আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রোটিন ছাড়া আমাদের শরীরের ত্বক, চুল, নখ, হাড় কিছুই বিকাশ অসম্ভব। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে প্রতিরক্ষা করে।
কার্বোহাইড্রেট:
কার্বোহাইড্রেটগুলি আমাদের দেহে গ্লুকোজ হিসাবে দ্রুত রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে। স্বাস্থ্যকর ওজন এবং জীবনধারা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফাইবারঃ
হজম স্বাস্থ্য এবং নিয়মিত অন্ত্রের জন্য ফাইবার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা এবং কোলেস্টেরল উন্নত করতে পারে। এটি ডায়াবেটিস, অন্ত্রের ক্যান্সার রোগের জন্য উপকার।
ফ্যাটঃ
ফ্যাট আমাদের ডায়েটের একটি অপরিহার্য অঙ্গ এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরণের চর্বি রয়েছে, কিছু ফ্যাট অন্যদের চেয়ে স্বাস্থ্যকর থাকে।
ওমেগা -৬ঃ
লোকেরা যদি পর্যাপ্ত ওমেগা -6 ফ্যাটি অ্যাসিড না খায় তবে কোষগুলি সঠিকভাবে কাজ করবে না।
ভিটামিন ই:
ভিটামিন ই শরীরের অনেক অঙ্গের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। এর অর্থ এটি কোষের ক্ষতিগ্রস্থ প্রক্রিয়াগুলি ধীর করতে সহায়তা করে।
আয়রনঃ
নিমিয়া রোগের জন্য উপকারী এবং রোগ প্রতিরোধক শক্তি বৃদ্ধি করে।
সোডিয়ামঃ
মস্তিষ্কের কাজ, রক্ত, হৃদয় ইত্যাদির জন্য উপকারী। আমাদের দেহে সঠিক পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ক্যালসিয়ামঃ
শরীরের হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে সহায়তা করে।
ম্যাগনেসিয়ামঃ
সুগারের রোগীদের জন্য উপকারি এবং হাড় মজবুত রাখে। হৃদরোগ থেকে রক্ষা করার জন্য উপকৃত।
পটাসিয়ামঃ
রক্তচাপ সঠিকভাবে বজায় থাকে এবং এটি পেশী শক্তিশালী করে।
চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা (Benefits Of Eating Peanut)
প্রচুর শক্তির উৎস
চিনা বাদাম প্রচুর পরিমানে খনিজ, পুষ্টি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ধারন করে এবং প্রচুর পরিমাণ শক্তির উৎস এটি।
খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমায়
কোলেস্টেরল হওয়ার একমাত্র কারণ হল অপুষ্টিকর খাবার এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাদ্য গ্রহণ। নিয়মিত চিনা বাদাম খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
পাকস্থলী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে
পলি-ফেনোলিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি চিনা বাদামে উচ্চ মাত্রায় উপস্থিত। যা পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
দেহের বিকাশ
চিনা বাদাম উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। এর মধ্যে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের উন্নয়ন এবং বিকাশের জন্য উপকারি।
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
পুষ্টির অভাব জনিত কারনে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। যার দরুন নানা ধরনের রোগের উৎপত্তি হয়। যেমন- সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথা ব্যথা, শরীরে দুর্বলতা ইত্যাদি। চিনা বাদামে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
স্বাস্থ্যকর ত্বক
বাদামের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার দেহের টক্সিন এবং বর্জ্য পদার্থ বর্জন করার জন্য অপরিহার্য। শরীরের ভেতরে থাকা দূষিত পদার্থ আমাদের বাইরের চেহারায় প্রতিফলিত করে। যার ফলে মলিনতা, অতিরিক্ত তেল সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন চিনা বাদাম, আপনার শরীরের অতিরিক্ত বিষাক্ত পদার্থ নিঃসারিত করে স্বাস্থ্য লাবণীয় ত্বক দিতে সহায়তা করে।
ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে
চিনা বাদাম রয়েছে ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়াম যা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ত্বক গ্লোয়িং করে তোলে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি হওয়ার প্রবণতা কম থাকে।
চুলের পুষ্টি জোগায়
চুলের স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে যে সমস্ত প্রোটিনের প্রয়োজন তা চিনা বাদামে রয়েছে। এতে উচ্চ মানের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা মাথার স্ক্যাল্প শক্তিশালী করার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি করে ।
চুল-বৃদ্ধি-করে
ভিটামিন ই এর অভাবে চুলের গোঁড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। যার দরুন অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে। ভিটামিন ই হল স্ক্যাল্পের পুষ্টি, যা চিনা বাদামে উপস্থিত। তাই নিয়মিত চিনা বাদাম খেলে চুল পুষ্টি পায় পাশাপাশি চুল বৃদ্ধি হয় ।
তাহলে দেখলেন তো চিনা বাদাম খাওয়া কতটা উপকার। তাহলে আজ থেকেই আপনার খাবারের তালিকায় চিনা বাদাম যোগ করুন নিজেকে সুস্থ রাখতে।
চিনা বাদামের সাইড এফেক্ট (Side Effects Of Peanut)
যেকোনো খাবার খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত খান তাহলে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়ে। ঠিক তেমন চিনা বাদাম অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তার কিছু সাইড এফেক্ট থাকে। চিনা বাদাম মাত্রাতিরিক্ত খেলে আমাদের যা সমস্যা হতে পারে সেগুলি হল-
- আপনার ত্বকের চুলকানি এবং ফুসকুড়ি হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে চিনাবাদাম গ্যাস, বুক জ্বালা বা অ্যাসিডিটি হতে পারে।
- চিনাবাদাম অ্যালার্জি হতে পারে।
- গরমে অতিরিক্ত খেলে পেট খারাপ হতে পারে।
- থাইরয়েড যাদের আছে তাদের সমস্যা হতে পারে
Reviews
There are no reviews yet.